কিভাবে প্রিয়জনকে সারপ্রাইজ দেবেন? | Le Delicia

কিভাবে প্রিয়জনকে সারপ্রাইজ দেবেন?

উপহার মানেই প্রিয় মানুষটির মুখে একরাশ হাসির আভা। জন্মদিন, বিয়ে, ঈদ, পূজা, বড়দিন,ভালবাসা দিবস,মা দিবস,বাবা দিবস  ইত্যাদি নানান পারিবারিক, সামাজিক, ও ধর্মীয় উৎসব সামনে এলেই প্রাসঙ্গিক ভাবে চলে আসে উপহারের কথা। কেননা কোনো বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে মানুষ উপহার দিতে যেমন পছন্দ করে, তেমনি সবাই উপহার পেতে পছন্দ করে। এই দিবস এলেই যে শুধু উপহার দিতে হবে, তা কিন্তু না ? উপহার যখন তখনই দেওয়া যায়।আর সাথে তাকে হঠাৎ সারপ্রাইজ দিয়ে স্পেশালও অনুভব করাতে পারেন। সেটা হোক সামান্য কিছু, আর সেটার মাঝেও থাকে একগুচ্ছ ভালোবাসা।

প্রিয় মানুষটি অভিমান করেছে? কিছুতেই অভিমানিনীকে মানাতে পারছেন না? তাকে যদি হঠাৎ করে তার প্রিয় কোনো উপহার দিয়ে চমকে দেন,কেমন হবে? আবার আপনার বাবা-মাকে তাদের বিবাহবার্ষিকী,জন্মদিন বা বিশেষ কোনো দিবসগুলোতে আপনি কোনো অভিনব উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন।

উপহারকে কোনো দিবসের মধ্যে আটকে না রেখে । পছন্দের প্রিয় যে মানুষটিকে ভালোবাসেন, তাকে তার পছন্দের জিনিস হুট-হাট করে দিয়ে দেখুন না, সে চমকে যায় কি না।

পেতে পারেন বাবা-মায়ের মুখের হাসি অমূল্য! দিবসের বাইরেও তাদের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হিসেবে উপহার দিন। কোনো মতবিরোধ, অভিমান থাকলে তা মিটে যাবে তো অবশ্যই।

আপনার ছোট বা বড় ভাইবোনদের সঙ্গে ঝগড়া, মারামারি, খুনসুটি হয়তো লেগেই থাকে। কিন্তু তাদের যে আপনি ভালোও বাসেন, সেটাও বোঝাতে হবে তো!

পরিবার পরিজনের বাইরে যে মানুষগুলো আপনার জীবনের সবকিছু, সেই বন্ধুদের উপহার দিয়ে চমকে দিতে কি বন্ধু দিবস, ভালোবাসা দিবস বা জন্মদিনের প্রয়োজন? শুধু হুট-হাট করে চমকে দিয়েই দেখুন তা কতো খুশি হয়। এতে করে বন্ধুত্বের টানটা আরও শক্ত হয়, ভালোবাসা বাড়ে, অভিমান কমে যায়।

উপহার দেওয়া মানেই হলো কাউকে তার গুরুত্ব বোঝানো। আপনি কোনো দিবসে উপহার দেওয়ার অর্থ কিন্তু ভিন্ন। কেননা সবাই জানে আজ উপহার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু হুট করে উপহার দেওয়া মানে আপনি সবসময়েই তার কথা ভাবেন। এই আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেও আনন্দ আছে। প্রিয়জনের আনন্দকে আজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার দেওয়া একটি ছোট্ট গিফট।

কিভাবে দিবেন সারপ্রাইজ?

‘মা’ কে দিতে পারেন শাড়ি, প্রিয় লেখকের বই

অবসরে যদি মায়ের সঙ্গী বই হয়ে থাকে তাহলে তার এই প্রিয় বইকেই উপহার হিসেবে বেছে নিন। দেখবেন, মা ভীষণ খুশি হবেন। মায়ের পছন্দের শাড়িও হতে পারে  দারুণ একটা উপহার। যে রংটা মায়ের ভালো লাগে সেই রঙের একটা শাড়ি কিনে দিন মাকে। মায়ের প্রিয় মুহূর্তের পুরনো কোনো ছবি ফ্রেমে বাঁধাই করে দিতে পারেন। এতে তিনি অনেক খুশি হবেন।

‘বাবা’র চশমার ফ্রেমটি বদলাতে পারেন

চশমার ফ্রেমটি বদলাতে পারেন:’বাবা’র পুরনো চশমার ফ্রেমটি বদলে নতুন একটি ফ্রেম কিনে দিন। তার জন্য ভালো চমক হতে পারে। নিজের কিছু মনের কথা যা বাবাকে কখনোই বলা হয়নি সেই কথা কার্ডে লিখে দিতে পারেন। বাবার কোনো প্রিয় জায়গা থেকে তাকে নিয়ে বেরিয়ে আসুন, অনেক দিন যেখানে তার যাওয়া হয় না। কোনো রেস্তোরাঁ থেকে বাবা-মায়ের পছন্দের খাবার কিনে এনে খাওয়াতে পারেন।

চিঠিতে মনের ভাষা প্রকাশ করে

সাধারণত এখন আর কেউ চিঠি লিখে না। তবে ভালোবাসা প্রকাশে এখনও এর ভূমিকা মেসেজ, ফোন কল ও মেইলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে মনের নানা অব্যক্ত কথা সহজেই প্রকাশ করা যায়।সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার স্বরূপ একটা চিরকুট লিখে সাথে রবীন্দ্রনাথ বা শরৎচন্দ্র দিয়ে একগুচ্ছ লাল গোলাপ দিতে পারেন।

প্রিন্ট করা ছবির ফ্রেম

প্রিয় মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য একটি ছবির ফ্রেম দারুণ আইডিয়া হতে পারে।কথায় আছে- “Simple is the Best”। যতগুলো উপহার আছে, তন্মধ্যে এটি সাধারণ মনে হতে পারে। তবে উপহার হিসেবে এর কদর রয়েছে। বিশেষ দিনটিতে প্রিয়জনকে এটি দিতে পারেন। যাতে ভালো লাগার কিছু মুহূর্তের ছবি ফ্রেম-বন্দি করে রাখা যায়।

প্রিয়জনের প্রিয় বই দিন

আপনার প্রিয় মানুষটি যদি বইপাগল হন তাহলে তার জন্য বইয়ের চেয়ে আর বড় কোনো উপহার হতে পারেনা আরও যদি হয় তার প্রিয় লেখকের বই তাহলে তো কোনো কথাই নাই।

আকর্ষণীয় গিফট বক্স

বর্তমানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপহার হল নানান উপাদান সাজিয়ে গড়ে তোলা একটি গিফট বক্স। হতে পারে প্রিয় মানুষটির জন্য শাড়ি,ম্যাচিং চুড়ি,টিপ,কানের দুল,পায়েল,সাথে খোপায় পরার জন্য গাজরা ফুল।আরও সাথে যোগ করলেন ছোট্ট একটি প্রেমময় চিরকুট।কি দারুণ হবে না!

প্রিয় মানুষটি যদি ফুডলাভার হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনার জন্য গিফট পছন্দ করা সহজ হয়ে গেল।তাকে একটি  বক্সে পছন্দের খাবার সমাহারে গিফট করতে পারেন।

কোথায় পাবেন?

লা ডেলিসিয়া থেকে ঝাল-মিষ্টির সমাহারের যেকোনো গিফট প্যাকেজ বাজেটের মধ্যে সহজেই দিতে পারেন।যেমনঃ

গিফট প্যাকেজ ১ এ রয়েছে চকলেট চিপস কুকিজ,চিলি চিকেন রোল,চিকেন ওয়েলিংটন,ডোনাট। তাদের আরেকটি চকলেটের সমাহার

গিফট প্যাকেজে ২ পাবেন চকলেট কুকিজ,চকলেট মাফিন,চকলেট একলায়ারস,চকলেট ডোনাট। দুর্দান্ত একের ভিতর মনের মত সব!

গাছ দিতে পারেন

অনেকের মতে সবচেয়ে ভালো উপহার হলো ক্যাকটাস গাছ দেয়া। কেননা ক্যাকটাস গাছকে নাকি বলা হয় ভালোবাসার প্রতীক। ভালোবাসা যেমন কখনো শেষ হয় না, তেমনি ক্যাকটাস গাছ যে কোন পরিবেশেই বেঁচে থাকে।এছাড়া প্রিয় গাছও দিতে পারেন।

রোমান্টিক ডিনার প্ল্যান

ক্যান্ডেলা লাইট ডিনারের আয়োজন করতে পারেন। খ্যাতিমান কোন রেস্তোরাঁয় অথবা নিজের বাসায় নিজ হাতে রান্না কর খাওয়াতে পারেন আপনার কাছের মানুষটিকে। এক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন কোন রেসিপি নিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন, অথবা তার পছন্দের খাবারটিও রেঁধে রাখতে পারেন। এরপর তাকে চমকিয়ে দিলেন।

শখ

প্রিয়জনের শখের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাকে তার শখ চর্চার জন্যও কিছু একটা উপহার দিতে পারেন। যেমন- বাগান করতে পছন্দ করলে তাকে এই সম্পর্কিত বই অথবা দুর্লভ গাছের চারা ইত্যাদি উপহার দিতে পারেন। বই পড়তে পছন্দ করলে প্রিয় লেখকের বইও দিতে পারেন। অনেকেই কবিতা পড়তে ও আবৃত্তি করতে ভালবাসেন। তাদের জন্য কবিতার বই, সিডি অথবা আবৃত্তি অনুষ্ঠানেও নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া অনেকেই ম্যাগাজিনও পড়তে বা সংগ্রহ করতে ভালবাসে, সেইদিকেও নজর দিতে পারেন। পুরনো অ্যান্টিক সামগ্রীর প্রতিও অনেকেরই দুর্বলতা থাকে। উপহার হিসেবে সেটিও কিন্তু অমূল্য!

প্রিয় নেকলেসটি উপহার দিতে পারেন

শপিংয়ে গিয়ে প্রিয় মানুষটি একটি নেকলেস পছন্দ করেছিল কিন্তু তখন টাকা না থাকায় কিনে দিতে পারেননি। এই দিনটিতে সেটি কিনে এনে তাকে বিস্মিত করে দিতে পারেন। অথবা দিতে পারেন লেটেস্ট ডিজাইনের থ্রি-পিস । দিতে পারেন গিফট হ্যামপারও।

কাপল ড্রেস উপহার দেয়া যায়

ম্যাচিং করে একই ডিজাইন ও রঙের পাঞ্জাবি, শাড়ি বা টিশার্ট, বর্তমানে বেশ ট্রেন্ডি সাথে আকর্ষণীয় বটে।

সাধারণ উপায়ে সারপ্রাইজ দিন

খুব বেশি সারপ্রাইজে না গিয়েও সাধারণ উপায়েই সঙ্গীকে বড় ধরনের সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি এমন একটি স্থানে ভ্রমণ গন্তব্য নির্ধারণ করতে পারেন, যেখানে আপনাদের একে অন্যের প্রথম দেখা হয়েছিল। রোমান্টিক ডিনার সেটআপ করুন, তাকে চকোলেট ও ফুল দিন। এটা নিয়ে আপনার জটিল ভাবে চিন্তার কিছু নেই, স্মৃতিবিজড়িত পুরনো ওই গন্তব্যটি ভালো কোনো ভ্রমণ গন্তব্যের চেয়েও মধুর অনুভূতি দেবে।

মনে রাখবেন কাউকে উপহার দেওয়ার সময় শুধু মনে রাখুন উপহারটি যেন সম্মানজনক হয়। আপনি যে উপহারটি প্রস্তুত করছেন এমন উপহার আপনি নিজে পেলে আদৌ খুশি হতেন কিনা। যেমন উপহার আপনি নিজে পেলে খুশি হতেন না তেমন উপহার কাউকে দিবেন না। ভেবে দেখুন, এভাবে চিন্তা করলে আপনার দেওয়া প্রতিটি উপহারই অসাধারণ হতে বাধ্য। সুতরাং লক্ষ্য রাখুন, উপহার যেন শুধু সামাজিকতার অংশ না হয়ে ভালোবাসার অংশ হয়ে ওঠে। এমন ভালোবাসা পূর্ণ উপহার পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়িয়ে তোলে, সম্পর্ক মধুর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

`
  • No products in the cart.